Friday, April 28, 2017

নোয়াখালী ও নোয়াখাইল্লাদের নিয়ে নাশকতা বন্ধ করুন !

যারা নোয়াখালী বিভাগ আন্দোলন এবং  নোয়াখালী থেকে ঢাকা আসতে পাসপোর্ট লাগবে এই বিষয় নিয়ে ট্রলিং করছেন এবং লেখাটা তাদের জন্য।।
নোয়াখালীর মানুষ বিভাগের দাবিতে আন্দোলন করছে। তারা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে তাদের দাবি জানিয়ে আসছে কারো কোন ক্ষতি না করে। অনেক বছর আগে চট্টগ্রাম বিভাগকে ভেঙ্গে নতুন বিভাগ গঠনের উদেশ্যে গঠিত মুশফিক কমিটিও নোয়াখালী বিভাগ গঠনের জন্য সুপারিশ করেছিলো।
'নোয়াখালী বিভাগ চাই ' এই স্লোগানকে কিছু লোক ট্রলিং করে হাস্যরসের মাধ্যমে তুচ্ছ করে তুলছেন। আপনার সুষ্ঠ বিনোদনের অভাব তাই আপনার অসুস্থ মস্তিষ্ক একটা বৃহৎ জনগোষ্ঠীর দাবিকে তামাশা করে বিনোদন পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
নোয়াখালীবাসী আপনার কোন ক্ষতি করে নাই, দেশেরও কোন ক্ষতি করে নাই। তারা দেশের সংবিধান মেনেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এরকম দাবি অন্য অনেক জেলার মানুষও করে থাকে। আর করাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
এই ট্রলার ম্যানদের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনার বিকৃত আনন্দের জন্য বৃহৎ জনগোষ্ঠীর ক্ষতি করবেন না। অবশ্য যাদের নোয়াখালীর প্রতি এলার্জি আছে, তারা চুলকিয়ে যান আর প্রতি স্ট্যাটাস কমেন্টে 'নোয়াখালী বিভাগ চাই ' লিখে লিখে ট্রলিং করে আরাম পান। হ্যাপি ট্রলিং।
সৃষ্টিকর্তা সকল চুলকানি ওয়ালাদের শান্তি দিন। আমিন॥

নোয়াখালীর হেটারদের জন্য

একবার এক নোয়াখাইল্লা হেটার আরেক নোয়াখাইল্লা রে বলে, বাউরে হেতে নোয়াখাইল্লা, বেডা কিছু আছে নি সেখানে? যত্তসব। তোগ ছাড়া মনে হয় আমরা চলতে পারুম না।

সেই নোয়াখাইল্লা হেটার একদিন এক দোকানে বসে মাম পানি কিনে খাইতেছে আর বলতেছে, এই নোয়াখাইল্লা দের লইয়া যে কি করি। সালার ঘরের সালারা। ঢাকার মেয়র রে দেখ, কত সুন্দর বানাইতেছে শহর রে । কত প্রজেক্ট হাতে নিছে, দোকানদার হাতের পানির বোতল কেড়ে নিয়ে বলে, এটার মালিক নোয়াখাইল্লা। এটা খাইয়েন না। আর ঢাকার মেয়র সাহেবের বাড়িও নোয়াখালী। ঢাকা ছাইড়া দেন।

রাগ করে সেই মিয়া আবার দোকান থেকে এক প্যাকেট ব্যাংগল বিস্কুট হাতে নিয়ে হালকা বৃষ্টির মাঝে শরীফ ছাতা লইয়া হাটা দিলো। কিন্তু তার মনে একটু ও জানা নাই, বেঙ্গল বিস্কুট আর শরিফ ছাতার ফাউন্ডার নোয়াখাইল্লা।

সে মিয়া ভাই আবার গ্রামে একখান বাড়ি বানাইছে, আবুল খায়ের গ্রুপের গরু মার্কা টিন দিয়া। ঘরের ভিত্রে রাখছে পার্টেক্স এর ফার্নিচার। যেটার দুইটাই নোয়াখালীর।

ঘরে আইশা শরীফ মেলামাইনের উপর ভাত লইয়া টিভি চালাইয়া আর টিভির খবর শুনা শুরু করলো। দুইটার মালিক এর জন্মস্থান নোয়াখালী।

বেচারা হেটার,
গর গর করতে করতে টিভির চ্যানেল চেইজন্জ করে দেখে  যে মোস্তফা সারোয়ার ফারুকি সাহেবের টেলিভিশন ছবি দেখাইতেছে, তাও নোয়াখাইল্লা ভাষা, যেটার পরিচালক নিজেই নোয়াখাইল্লা।

রাগে গদ গদ হয় বেচারা গেলো মার্কেটাইল ব্যাংকে, টাকা উঠাইয়া আজকেই আবুল খায়ের এর গরু মার্কা টিনের উপরে পেইলাক পেইন্ট লাগিয়ে নোয়াখালীর নাম নিশানা উড়াই দিমু।

বেচারার দূর অবস্থা তখন শুরু হইলো যখন জানলো, মার্কেটাইল ব্যাংক এর চেয়ারম্যান নোয়াখাইল্লা, তার উপর পেইলাক পেইন্ট এর মালিক ও আবার নোয়াখাইল্লা।

রাগ করে বের হয়ে বেচারা বাড়িতে যাচ্ছে, একটা গাড়ি এসে চিটকা দিয়ে দিলো তার সাধা শার্টে ময়লা লাগিয়ে। দোকানে গিয়ে আলম এর এক নং পচা সাবান নিয়ে গেলো বউরে দিয়া বল্লো ধুয়ে দিতে।

বলি, ভাই সাব যদি এখন জানে, এই সাবান এর মালিক ও নোয়াখাইল্লা তখন তো কয়লা ধুয়ে ময়লা যাবে না আর।

বেচারা মনে খুব দুঃখ নিয়ে গেলো আমাদের মাননীয় স্পিকার শিরিন সারমিন এর কাছে। আর বললো, ম্যাডাম, যেখানে যাই, সেখানেই নোয়াখাইল্লা। আমি এখন কি করবো? এর থেকে বাচার উপায় বলে দেন।

ব্যাপার টা তখন পর্যন্ত ঠিক ছিলো। একটু পর স্পিকার সাহেবের পি এ এসে বলে, উনি নিজেই তো নোয়াখাইল্লা, জলদি ভাগেন ।

অসহায় ভাইটির মদ খাবার হ্যাবিট নাই। তাই রাগ করে একটা জিরা পানি মদের বোতলের মত ধরে খাইতে খাইতে রাস্তায় হাটা শুরু করলো।

ভাইটি জানতেও পারলো না, যে জিরা পানি খেয়ে অভিমান কমানোর চেস্টা করছেন, সেটাও নোয়াখাইল্লা প্রোডাক্ট। ।।

দেশের সকল নোয়াখাইল্লা হেটার দের জন্য এক মিনিট নিরবতা।
C.paste

No comments:

Post a Comment

বাংলালিংকের গ্রাহক হলেই বিনামূল্যে মিলবে প্রি-পেইড মাস্টার কার্ড

বাংলালিংকের গ্রাহক হলেই বিনামূল্যে মিলবে প্রি-পেইড মাস্টার কার্ড বাংলালিংক'র গ্রাহক হলেই বিনামূল্যে মিলবে প্রি-পেইড মাস্টারকার্ড। ক...